অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : লোহা দিয়ে তৈরি প্রতীকী কারাগার। সেই কারাগারে হাত উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে একটি মেয়ে। পরনে গোলাপি রঙের শাড়ি। গলায় মালা ও চোখে চশমা।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ঝিনাইদহ থেকে খুলনা অভিমুখে বিএনপির রোডমার্চে দেখা গেলো এমনই একটি দৃশ্য।
রোডমার্চে ‘কারাবন্দি খালেদা জিয়া’ সেজে সবার নজর কাড়ে হুমায়রা জান্নাত প্রার্থনা নামের এক কিশোরী। সে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক হামিদুর রহমান হামিদের মেয়ে।
দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ঝিনাইদহ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের উদ্বোধনী সমাবেশ শেষে রোডমার্চ শুরু হয়। ‘অবৈধ সরকারের’ পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্তি এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন ও খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে শুরু হওয়া রোডমার্চটি ঝিনাইদহ থেকে মাগুরা ও যশোর হয়ে খুলনা গিয়ে শেষ হবে।
রোডমার্চে দেখা যায়, ওই বহরে একটি পিকআপভ্যানে স্থাপন করা হয়েছে প্রতীকী কারাগার। কারাগারে খালেদা জিয়া সাজে দাঁড়িয়ে আছে হুমায়রা জান্নাত। কারাগারের দেওয়ালে বেগম জিয়ার মুক্তির দাবি লিখে রাখা হয়েছে।
ওই পিকআপভ্যানে উপস্থিত ছিলেন হুমায়রা জান্নাতের বাবা উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক হামিদুল ইসলাম হামিদ ও কয়েকজন নারী। ঝিনাইদহ-৪ আসন থেকে হামিদুল ইসলাম হামিদ দলীয় মনোনয়ন চাইবেন বলে জানা গেছে।
হুমায়রা জান্নাত প্রার্থনার বাবা হামিদুর রহমান হামিদ বলেন, ‘এ প্রোগ্রামে মেয়েকে খালেদা জিয়া সাজিয়ে কারাবন্দি অবস্থায় নিয়ে আসার একটি উদ্দেশ্য। তা হলো এ ভোটবিহীন সরকার আমাদের নেত্রীকে দীর্ঘদিন ধরে আটকে রেখেছে। নেত্রী বর্তমান ভীষণভাবে অসুস্থ। তাকে নিঃস্বার্থভাবে মুক্তি দিয়ে বিদেশে চিকিৎসা করতে পাঠাতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘চলমান আন্দোলনে নেতাকর্মীরা আমার মেয়ের এমন সাজ দেখে আরও উজ্জীবিত হবেন। এমন চিন্তাধারা থেকেই মেয়েকে এভাবে সাজিয়ে নিয়ে এসেছি।’
ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি এম এ মজিদ বলেন, সকালে ঝিনাইদহ বাস টার্মিনালে রোডমার্চ উদ্বোধনী সমাবেশে একটি মেয়ে বেগম খালেদা জিয়া সেজে কারাবন্দি অবস্থায় এসেছিল। বিষয়টি সবার নজর কাড়ে। তার এ সাজটি আমাদের সবার অনেক ভালো লেগেছে।
রোডমার্চে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এম এ মজিদের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মেহেদী আহম্মেদ রুমী, ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দীন, তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, মানবাধিকার সম্পাদক আসাদুজ্জামান ও বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু জয়ন্ত কুমার কুন্ডু।
Leave a Reply